টুকিটাকি >< জ্ঞান


গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে প্রাচীন ভূমিধসের সন্ধান

অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে সমুদ্র তলদেশের গভীরে প্রায় তিন লাখ বছর আগের একটি বড় ধরনের ভূমিধসের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ভূমিধসের প্রভাবে বিরাট একটি সুনামিও হয়ে থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। বুধবার তারা একথা জানান।
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ

সমুদ্রতলদেশে বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রবাল প্রাচীরের আশপাশের ত্রিমাত্রিক ছবি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এটা আবিষ্কার করেন। শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে এই প্রাচীন ভূমিধস হয় এবং ভূমিধসের প্রভাবে ২৭ মিটার উঁচু বিরাট একটি সুনামিও হয়ে থাকতে পারে। খবর এএফপি
র।
জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের রবিন বেয়াম্যান বলেনযে স্থানের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করা হয় তার 
মধ্যখানে ইতোমধ্যেই আটটি সমুদ্র তদদেশের পাহাড় সনাক্ত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা আশপাশের এলাকার সীমানায় এগুলোর জ্বালামুখের সন্ধান পান।
তিনি ম্যারিন জিওলজি পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক।
কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের উপকূল থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে এই ভূমিধসের সন্ধান পাওয়া গেছে যার আয়তন ৩২ কিউবিক কিলোমিটার। এই আয়তন উলুরি থেকে প্রায় ৩০ গুণ বড়।
উলুরু একটি বিরাট শিলাস্তম্ভ। এটা আইয়ের্স রকস হিসেবেও পরিচিত।
**********************************
 চোখের সামনে সমুদ্রে ভেঙে পড়ছে জ্বলন্ত ভূভাগ। হাওয়াই‌ দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে রোম খাঁড়া করে দেয়ার মতো সুন্দর দৃশ্যের সাক্ষী হলেন কিছু প‌র্যটক।
জ্বলন্ত ভূভাগ - হাওয়াই‌ দ্বীপ
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে একাধিক জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ের ওপর অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জে সব সময় চলতে থাকে ভাঙা গড়ার খেলা। জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির লাভা ধীরে ধীরে এসে পড়ে সমুদ্রে। তাতেই বাষ্প হয়ে বাতাসে মেশে সমুদ্রের পানিতে। হাওয়াই আগ্নেয়গিরি জাতীয় উদ্যানে সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন লাখ লাখ প‌র্যটক।
তেমনই একদল প‌র্যটকের সামনে ঘটেছে ভয়ঙ্কর সুন্দর এই ঘটনা। গত সপ্তাহে এই ভিডিও ধরা পড়েছে রাসেল ফ্রাই নামে এক ব্যক্তির ক্যামেরায়।

******************************************
বিশ্বের উষ্ণতম বছর ২০১৬
ধীরে ধীরে বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা। ১৮৮০র দশক থেকে প্রতিবছর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু হয়েছিল। আর তখন থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০১৬ সালটাই। জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনই জানান হয়েছে। 
২০১৫ সাল ছিল বিংশ শতাব্দীর উষ্ণতম বছর। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১.‌৬৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট। সেখানে ২০১৬ সালে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.‌০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শুধু যে তাপমাত্রা বাড়ছে তাই নয়, জাতীয় সমুদ্র এবং আবহমণ্ডল প্রশাসন (‌ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এনওএএ)‌‌এর পৃথক একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় বরফ গলার পরিমাণও বেড়েছে। 


মূলত খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থের পরিমাণ বাড়ছে। আর সেকারণেই গ্রীন হাউস গ্যাসও বায়ুস্তরে বেড়ে চলেছে। ফলে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় এল নিনোর প্রভাবেও বেড়েছে তাপমাত্রা। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ার ফলে কী অসুবিধা হবে?‌ 
নাসার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, তাপমাত্রা বাড়লে দুই মেরুর বরফ গলার পরিমাণও বাড়তে থাকে। ফলে পানিস্তর বাড়ে। এছাড়া বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় তাপমাত্রার তারতম্যও দেখা যায়। কোথাও বেশি বৃষ্টি আবার কোথাও খরা। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে দেখা যায়। বিশ্বায়নের ফলে কলকারখানার পরিমাণ বৃদ্ধি, বনজঙ্গল কেটে ফেলাও পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।‌

Comments