পুরোটাই কাল্পনিক

পুরোটাই কাল্পনিক

তাসলিমা বেগম

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে বড় কবিদের আড্ডা চলছে। বল্টু সেখানে সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেছে। বল্টুর বানানো চা খেয়ে কবিরা নানা প্রতিক্রিয়া দেখাতে লাগলেন। তাদের প্রতিক্রিয়াগুলো নিয়ে কল্প-আড্ডা সাজিয়েছেন তাসলিমা বেগম

চা খেয়ে কবিগুরু প্রথমে বললেন
আমারো পরান যাহা চায়, তার কিছু নাই এই চা’য় গো
আমারও পরান যাহা চায়...
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হুঙ্কার দিয়ে বললেন
মহা বিদ্রোহী রণকান্ত, হতে পারি আমি শান্ত!
বল্টু যদি ভালো করে আবার চা বানিয়ে আনতো।
কাজী নজরুল ইসলামে হুঙ্কার শুনে কবি জীবনানন্দ দাশ উদাস মুখে বললেন
আর আসিব না ফিরে, রবিঠাকুরের নীড়ে
গরম চায়ে চুমুক দিয়ে ঠোঁট গিয়েছে পুড়ে।
খানিক পরেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বললেন
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি
চা খেয়ে আজ ভরল না মন গুরু, এবার ফুটি।
কবি হেলাল হাফিজ গুমরে গুমরে বললেন
নষ্ট পাতির সস্তা চায়ে মুখ হয়েছে তিতে
কষ্ট চেপে নষ্ট চায়ে মুখ যদি কেউ দিতে!
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ নরম কণ্ঠে বললেন
(আপনমনে) ভালো আছি ভালো থেকো!
চায়েতে চিনি একটু বেশি রেখো!
(বল্টুকে) নিয়ে যা মোর চায়ের কাপটা
রেখে আয় ওই অন্দরে
(আপনমনে) আমার ভিতরে বাহিরে যন্তরে মন্তরে
সবই গেছে নৌ-বন্দরে
সবার প্রতিক্রিয়া দেখে কবিগুরু খুব বিব্রত হলেন। তিনি বল্টুকে বললেন
ওরে অধম, ওরে আমার কাঁচা!
ভালো করে চা বানিয়ে আমাকে তুই বাঁচা!!

Comments