Skip to main content
শিশুর ত্বকের যত্ন : A - Z
শিশুর ত্বকের যত্ন :
শীত শীত আবহাওয়া...। ইতিমধ্যেই আমাদের ত্বক তা জানান দেয়া শুরু
করে দিয়েছে। বড়দের ত্বকের পাশাপাশি শীতের সময় ছোটদের ত্বকেরও দরকার বিশেষ যত্ন।
শীতের সময় শিশুদের ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক ও রুক্ষ। এসময়ে শিশুদের
মসৃণ ত্বকও হয়ে ওঠে অমসৃণ। তাই এ সময়ে শিশুদের বাড়তি
যত্ন করা উচিত। আসুন জেনে নেয়া যাক শীত শিশুর ত্বকের কিছু যত্ন সম্পর্কে।গোসলে হালকা গরম পানি
শীতকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শিশুদেরকে গোসল করালে ঠান্ডা
লেগে যায়। আবার বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করালেও ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। তাই
এই সময়ে শিশুকে গোসল করাতে হবে হালকা গরম পানি দিয়ে। তাহলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায়
থাকবে, আবার ঠান্ডাও লাগবে না। এছাড়াও শীত কালে গোসলের সময়টা কমিয়ে আনা উচিত।
কারণ বেশি সময় ধরে হালকা গরম পানিতে থাকলেও ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়।ময়শ্চারাইজিং:শিশুকে গোসলের পর বেবি লোশন কিংবা অলিভ ওয়েল মেখে দিন
পুরো শরীরে। কারণ শীত কালে গোসলের পরে শরীরে ময়শ্চারাইজার না লাগালে ত্বক শুষ্ক ও
রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিন গোসলের পর অবশ্যই ভালো মানের বেবি লোশন, বেবি
অয়েল কিংবা অলিভ অয়েল লাগিয়ে দিন শিশুর পুরো শরীরে। তাহলে শিশুর ত্বক থাকবে নরম ও
মোলায়েম।প্রচুর পানি খাওয়াশীত কালে প্রকৃতির শুষ্কতা বেড়ে যায়। আর তাই এসময়ে সবারই
প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। প্রচুর পানি খেলে দেহের আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়
এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব কমে যায়। শীতকালে শিশুদেরকে বার বার পানি খাওয়ান। কিছুক্ষন
পরপর পানির গ্লাস নিয়ে যান তাদের কাছে। অনেক সময় শিশুরা পানি খেতে চায় না।
এক্ষেত্রে তাদেরকে বুঝিয়ে রাজি করিয়ে পানি খাওয়ান অথবা ফলের রস করে খাওয়ান। যেসব
নবজাতকরা পানি খায় না শুধু মায়ের দুধ খায়, তাদেরকে কিছুক্ষন
পর পরই দুধ খাওয়ান। তাহলে শরীরে পানির অভাব হবে না এবং ত্বক ভালো থাকবে।লিপ বাম শীতকালে বড়দের মতোই শিশুদেরও দরকার ঠোঁটের যত্ন। আর তাই
শিশুদের ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে। অনেক সময়
নবজাতক শিশুরও ঠোঁট ফেটে যায়। এক্ষেত্রে আঙুলের মাথায় সামান্য পরিমান ভ্যাসলিন
নিয়ে নবজাতকের ঠোটে লাগিয়ে দিতে পারেন। তবে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে তা মুখে দিন
ভালো করে।হিউমিডিফায়ার ব্যবহার
করুন:
শিশুর রুমে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
বাজারে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের হিউমিডিফায়ার পাওয়া যায়। এগুলোর কাজ হলো বাতাসের
আর্দ্রতা ধরে রাখা। রুমে হিউমিডিফায়ার রাখলে বাতাসের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। ফলে শিশুর
ত্বকে শীতের শুষ্কতার প্রভাব পড়ে না। ত্বক থাকে সুন্দর ও মোলায়েম। শিশুদের জন্য শীতের আগমন মানেই মায়েদের
দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া। তাই তাদের প্রতি একটু বাড়তি যত্নই নিতে হয়। শীতে জ্বর, সর্দি কিংবা কাশি সাধারণ
ঘটনা। জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশির
জন্য বয়স অনুযায়ী সাধারণ ওষুধেই ভালো হয়ে যায়। অনেকের আবার তাও লাগে না। লবণ পানি
দিয়ে নাক পরিষ্কার এবং বুকের দুধ ও পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়ালেই ভালো হয়ে যায়।
বাসক পাতার রস এবং মধুও ভালো কাজ দেয়।
শীতে শিশুর সর্দি-কাশির বেশিরভাগই
ভাইরাসজনিত। এগুলোয় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো দরকার পড়ে না। তাই বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করলে শিশুর ক্ষতি হতে
পারে। ঘরোয়া চিকিত্সাতেই অধিকাংশ সর্দি-জ্বর ভালো হয়। এ সময় মায়েদের উষ্ণ পানি
দিয়ে শিশুদের গোসল করাতে হবে। হালকা ফ্যান ছেড়ে ঘুমালেও কোনো ক্ষতি নেই। নাক যদি
বন্ধ হয়ে যায়,
তবে লবণ পানির ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বাজারে নরসল
ড্রপ কিনতে পাওয়া যায়। পাতলা কাপড় বা কটন বাডে দুই ফোঁটা নরসল ড্রপ লাগিয়ে নাক
পরিষ্কার করা যেতে পারে। যদি কাশি হয় তবে ওষুধ ব্যবহার না করে ঘরেই প্রতিরোধ
ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে।
যেমন—আধা কাপ লাল চায়ের সঙ্গে কয়েক
ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যায়। অথবা আধা কাপ গরম পানির সঙ্গে কয়েক
ফোঁটা লেবুর রস ও মধু বা তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যায়। আদা কুচি করে
বা আদা-চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়েও শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। জ্বর ১০০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ানো উচিত। এছাড়া তোয়ালে ভিজিয়ে
বারবার শিশুর গা মুছিয়ে দিতে হবে। তবে বাচ্চার নিউমোনিয়ার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে
হবে। এ জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর শ্বাসনালি অতি সংবেদনশীল। তাই
শীতে হাঁপানির প্রকোপ বাড়ে। এই রোগ প্রতিরোধে বাসায়, শোবার ঘরে কার্পেট
রাখবেন না। লোমযুক্ত চাদর, কম্বল ব্যবহার করবেন না।
হাঁপানি নিরাময়ে সালবিউটামল সিরাপ এক বছরের নিচের জন্য আধা চামচ আর এক বছর থেকে
পাঁচ বছরের জন্য এক চামচ করে দিনে তিনবার খাওয়াতে পারেন।
শিশুর ত্বক ও শ্বাসতন্ত্র নাজুক ও অপরিণত।
তাই শিশু তাপ ধরে রাখতে পারে না, সহজে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এ সময় তাই তাকে পর্যাপ্ত শীতের
কাপড় পরাতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে, শিশুকে নাক-মুখ
বন্ধ করে, শক্ত করে মুড়িয়ে দিতে হবে। শীতের কাপড় যেন
আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শীতে ঘাম কম হওয়ার
কারণে শিশুর প্রস্রাব বেশি হয়। এ জন্য নবজাতকের কাঁথা ভিজে যাচ্ছে কি না বা একটু
বড় শিশুর প্যান্ট ভিজছে কি না তা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে বেশি প্রস্রাব
করছে দেখে শিশুকে বুকের দুধ ও তরল খাবার কমিয়ে দেন। এটি খুবই মারাত্মক একটি
পদক্ষেপ, যা কখনোই করা উচিত নয়। এতে কিডনিসহ অন্যান্য
অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। শীতে সোনামণিদের কোমল ত্বকের যত্নে অবশ্যই ভালো মানের লোশন
বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। শুধু মুখে নয়, সারা শরীরে।
শিশুকে পর্যাপ্ত সময় রোদে রাখতেও ভুলবেন না। শীতে গোসল করতে কিন্তু বাধা নেই।
কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে পারেন। অনেকে গোসলের আগে সরষের তেল
মাখিয়ে দেন। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, অবশ্য ক্ষতিও
নেই। তবে গোসল করানোর সময় কানে যাতে পানি না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর শরীর
ভালোভাবে মুছতে ভুলবেন না।
শিশুকে নিয়ে বেশি ভয় থেকে কিংবা
বয়োজ্যেষ্ঠদের পরামর্শে শীতে অনেক মা খাওয়া-দাওয়া ও জীবনাচরণে খুবই কঠোরতা অবলম্বন
করেন। বিশেষ করে নবজাতকের মায়েরা এসব বেশি করেন। অনেকে নিজের সর্দি-কাশি হলে
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেন। গ্রামাঞ্চলের মতো শহরেও এসব ঘটনা বিরল নয়।
এসবে শিশুর তো লাভ হয়ই না বরং ক্ষতি হতে পারে। আসলে বিভিন্ন ঋতুর মতো শীতেও শিশুর
নানা রোগ হতে পারে,
এটা আলাদা বিশেষ কোনো ব্যাপার নয়। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ
নেই।
রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি
মিশিয়ে শিশুর হাত-পায়ে লাগানো যেতে পারে। শীতে বাচ্চাদের মোটা সুতি কাপড় পরানো
যেতে পারে। আঁটসাঁট বা উলের কাপড় পরালে তাদের শরীর ঘেমে ঘামাচি উঠতে পারে।
এক্ষেত্রে ফ্লানেলের জামা পরানো যেতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় শিশুর গলায় ও মাথায়
পাতলা কাপড় পেঁচিয়ে রাখলে ভালো হয়। রাতে টুপি বা মোজা পরে শিশুকে কখনোই ঘুমাতে
দেয়া উচিত নয়। কারণ,
শিশু রাতে ঘুমানোর সময় বিছানা ভিজিয়ে ফেলে। ভেজা বিছানায় শুয়ে
থাকলে তার ঠাণ্ডা লাগার ভয় থাকে বেশি। তাই এ বিষয়ে বাবা-মাকে অবশ্যই বিশেষ খেয়াল
রাখতে হবে।
শীতের কিছু সাধারণ সমস্যা যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁপানি বেড়ে যায়। এজন্য ঘাবড়ে না গিয়ে
চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। এসময়ে শিশু যেন মেঝেতে খালি পায়ে না হাঁটে সেদিকে খেয়াল
রাখতে হবে। শিশুর জন্য বাসায় ব্যবহার উপযোগী জুতা কিনতে পারেন। ঘরের মেঝেতেও
কার্পেট অথবা মোটা কাপড় বিছিয়ে দিতে পারেন। তাহলে মেঝেতে বসে খেলা করলেও ঠাণ্ডা
লাগবে না। শিশুর কাপড় ঘরে না শুকিয়ে রোদে শুকাবেন। এছাড়া শিশুর বিছানা-বালিশ
প্রতিদিন রোদে গরম করে নিলে শিশু আরাম বোধ করবে। এ সময় শিশুরা বারবার ন্যাপি
ভিজিয়ে ফেলে। ন্যাপি বার বার পাল্টে দিতে হবে। তা না হলে নবজাতকের ঠাণ্ডা লেগে
নিউমোনিয়া অথবা মামস হয়ে যেতে পারে। শীতে শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলোবালি বেশি থাকে।
খেয়াল রাখতে হবে শিশুর গায়ে যেন ধুলোবালি না লাগে এবং কাপড় চোপড়ও
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
শিশুর যত্নের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় খেয়াল
রাখা জরুরি। তা হলো শিশুর ত্বক শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না। দিনে দুই-তিনবার বেবি অয়েল
বা ভ্যাসলিন দিতে হবে। সকাল-বিকাল কানঢাকা টুপি ও হালকা শীতের কাপড় পরিয়ে রাখতে
হবে। রাতে ডায়াপার পরিয়ে শোয়াতে হবে। শিশুর নাক-মুখ যেন লেপ, কম্বল দিয়ে ঢেকে না যায়
তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। 
#>
নবজাতক শিশুর যত্ন:
* শিশু মায়ের পেটে উষ্ণ তাপমাত্রায় অবস্থান করে। তাই পৃথিবীর
তাপমাত্রায় সে শীত অনুভব করে। তা ছাড়া শিশুর শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা তৈরি
হতেও সময় লাগে। তাই শিশুকে উষ্ণ তাপমাত্রায় রাখুন। যদি ঘরের তাপমাত্রা ২৫০ঈ হয়,
তবে সুতির কাপড় পরিয়ে কাঁথা দিয়ে মুড়ে রাখুন। এই মাত্রার নিচে
হলে সোয়েটার ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়ার সময় ঘেমে যায়। তাই ওই
সময় সোয়েটার আলগা করে দিন। লক্ষ করুন, বাচ্চা ঘামছে কি
না।* বাচ্চাকে ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ান। বুকের দুধে রোগ প্রতিরোধ
শক্তি থাকে। ফলে শিশু সহজে ঠাণ্ডা, কাশি ইত্যাদিতে
আক্রান্ত হয় না। যেসব বাচ্চা কোনো কারণে বুকের দুধ খায় না বা পায় না, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।* দিনের বেলা জানালা খুলে রোদ ও (ঠাণ্ডা বাতাস এলেও) নির্মল
বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন।* ঘরের মধ্যে কাপড় না শুকিয়ে অবশ্যই রোদে শুকান।* বাচ্চাকে দোলনায় বা আলাদা মশারির নিচে না রেখে মায়ের কোলঘেঁষে
শোয়াবেন। এতে বাচ্চা উষ্ণ থাকবে, মায়ের সঙ্গে আন্তরিকতা
বাড়বে ও বুকের দুধ খাওয়াতে সুবিধা হবে।* যদি পরিবারের কোনো সদস্যের বা কোনো আত্মীয়ের সর্দি, কাশি, ভাইরাল জ্বর ইত্যাদি থাকে, তবে তাঁরা মা ও শিশুর কাছে আসা থেকে বিরত থাকুন।* শিশুকে শীতকালে ঘরের বাইরে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। রোদে দিতে
হলে জানালার পাশে বা ঘরের বারান্দা থেকে রোদ লাগান।
- নবজাতক শিশুকে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে গোসল করানোর দরকার নেই।
বাচ্চার নাভি না শুকানো পর্যন্ত তাকে গোসল করাবেন না। সপ্তাহে দুদিন গোসল করানোই
যথেষ্ট। গোসলের আগে ঘরের দরজা-জানালা লাগিয়ে নিন। গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় ঈষদুষ্ণ
পানি (৪৫০ঈ), নরম কাপড় বা স্পঞ্জ, তোয়ালে, ভ্যাসলিন, ডায়াপার
ইত্যাদি সব হাতের কাছে গুছিয়ে নিয়ে গোসল করাতে বসুন।
- নবজাতক শিশুর সামান্য কাশি বা হাঁচিও কিন্তু সন্দেহজনক। তাই
কাশি, শব্দ করে শ্বাস টানা, দুধ
টেনে খেতে না পারা, শ্বাস নিতে কষ্ট বা পাঁজর নিঃশ্বাসের
সঙ্গে বেঁকে যেতে থাকলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।যা করবেন না* শিশুকে অতিরিক্ত সোয়েটার পরিয়ে রাখবেন না। এতে ঘাম জমে সেই ঘাম
শীতকালীন ঠাণ্ডা বাতাসে শুকিয়ে শিশুর সমস্যা তৈরি করতে পারে।* শিশুর গায়ে বেবি অয়েল বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন।* শিশুকে রাতের বেলা ডায়াপার পরিয়ে শোয়ান।* শীতকালে নবজাতকের মাথা কামানো যাবে না ।* শিশুর নাক বা মুখের ওপর কাপড়, লেপ,
কম্বল ইত্যাদি দেবেন না।
#> দেড় মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুর যত্ন:
শিশুকে প্রয়োজন অনুযায়ী উষ্ণ রাখুন। ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখা যাবে
না। স্যাঁতসেঁতে ঘরেও তাকে রাখা ঠিক হবে না।বাচ্চাকে বুকের দুধ নিয়মিত খাওয়ান। ফিডারে খাওয়ালে অল্প গরম দুধ
দিন। ঘুমের মধ্যেও ঠাণ্ডা দুধ দেবেন না।ছয় মাসের বেশি হলে বাচ্চাকে বুকের দুধের
পাশাপাশি অন্য খাবার দিন। খিচুড়িতে ডিমের সাদা অংশ, লাল
শাক, পালং শাক অল্প করে দিতে পারেন। লেবুর রস দেবেন,
কমলার রস খাওয়াবেন। এতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে।যেসব
বাচ্চা হামাগুড়ি দেয়, দেখবেন তারা যেন ঠাণ্ডা মেঝেতে
হামাগুড়ি না দেয়। তবে কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ কার্পেটের রোয়া থেকে বা
ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়। তাই মাদুর বা ম্যাট ব্যবহার করা ভালো।এক দিন অন্তর গোসল
করান ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে। গোসলের পর বেবি লোশন লাগাবেন। তেলজাতীয় কিছু লাগাবেন
না।বাচ্চাকে নরম কাপড়ের জুতা পরানোর অভ্যাস করুন ও শোয়ানোর সময় মোজা পরিয়ে শোয়ান,
তবে উলের মোজা পরানোর প্রয়োজন নেই।এ বয়সী বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কম থাকে। তাই সর্দি, কাশি সহজেই লেগে যায়।
বাচ্চাকে খুব জনবহুল স্থানে (মেলা, পিকনিক) না নিয়ে
যাওয়াই ভালো।
#> এক থেকে ছয় বছরের বয়সের শিশুর যত্ন:
এই বয়সে শিশুরা অনেক খেলাধুলা ও দৌড়াদৌড়ি করে থাকে। তাই খুব
বেশি গরম ও ভারী কাপড় পরার প্রয়োজন হয় না। তবে সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ও বিকেলে
খেলতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত উষ্ণতা নিশ্চিত করুন।বাচ্চাকে স্কুলে পাঠালে পরস্পরের
মাধ্যমে শীতকালে কিছু ছোঁয়াচে চর্মরোগ বিস্তার লাভ করে। তাই বাচ্চার ত্বকের প্রতি
খেয়াল রাখুন। নিয়মিত লোশন লাগান যেন ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায়।শীতকালীন শাকসবজি ও ফল_কমলা, বরই বেশি করে খেতে দিন।শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করে শীতের আবহকে উপভোগ করুন পরিপূর্ণ ভাবে।
Comments
Post a Comment