হাশিমপুরা ২২ মে

- হাশিমপুরা ২২ মে -
সাল ১৯৮৭। উত্তরপ্রদেশের মিরাটের মফস্বলমতো একটা জায়গা, নাম হাশিমপুরা। এলাকাটায় মুসলমানদের সংখ্যাই বেশি, দুয়েক ঘর নীচুজাতের হিন্দুও থাকেন এখানে। হানিফের বাসাটা রাস্তায় পাশেই, মহল্লার এঁদো গলির ময়লা আবর্জনা ঠেলে ঘরে ঢুকতে হয় তাদের। সারাদিনমান এখানে চিৎকার চেঁচামেচি লেগেই থাকে। মশলামাখা কাবানের সুগন্ধ ভেসে আসতে থাকে সন্ধ্যার পরে। তবে রোজ রোজ মাংসের স্বাদ চেখে দেখার মতো অবস্থা নেই কারোই। এলাকার লোকজন বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ, নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। হানিফ নিজে কাজ করেন একটা গার্মেন্টসে। সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে ঘরে ফিরতে ফিরতে রাত আটটা-ন’টা বেজেই যায়। ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসতে শুরু করে, তবে হই-হট্টগোলে ঘুমানোও যায় না। এলাকা নিরিবিলি হতে হতে বেজে যায় এগারোটা, আর রাত বারোটা নাগাদ মোটামুটি শুনশান হয়ে আসে চারপাশ। রাস্তার কয়েকটা কুকুর ছাড়া আর কারোই দেখা মেলে না তখন। তবে সেই রাতে ব্যাতিক্রম কিছুই ঘটেছিল। মধ্যরাতে দরজায় জোরে ধাক্কা মারলো কেউ, বাইরে থেকে বলা হলো দরজা খুলতে, নইলে ভেঙে ফেলা হবে।
আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ ভেসে আসছে তখন, দূরে শোনা যাচ্ছে মহিলাদের কান্না। হানিফের ঘরেও মহিলা আছে, মা আছে, দুটো ছোট বোন আছে, আছে স্ত্রী আর সন্তানেরাও। হানিফ পরিচয় জানতে চাইলো আগন্তকদের, জবাবে বলা হলো, পুলিশ এসেছে। ভয়ে ভয়েই দরজা খুললো হানিফ।

ঘর থেকে বের হবার সাথে সাথেই তার হাতে হাতকড়া পরিয়ে দিলো দুজন মিলে। ঘটনা কি ঘটছে কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না হানিফ। টেনে হিঁচড়ে তাকে রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে তখন, তার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় এসে হানিফ দেখলো, অন্যান্য বাড়িগুলো থেকেও তরুণ আর মধ্যবয়স্ক যুবকদের ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে। সবাইকে বলা হলো হাত উপর করে দাঁড়াতে, সেইসঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ তো ছিলই। সেসব গালির বেশিরভাগই ছিল ধর্মকে কেন্দ্র করে। মোটামুটি ষাট-সত্তরজনকে একসঙ্গে দাঁড় করানো হলো। তারপর সবাইকে গরুর মতো দড়ি দিয়ে বেঁধে তোলা হলো হলুদ রঙের একটা ট্রাকে। পুলিশদের পোষাকটা অপরিচিত লাগছিল সবার কাছেই, এমন পুলিশ কেউ দেখেনি আগে। ওরা জানতো না, বিশেষায়িত এই বাহিনীর নাম ছিল প্রভিশনাল আর্মড কনস্টেবল বা প্যাক। দাঙ্গা বা জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্যে প্রস্তুত রাখা হয় এদের। এই ষাট সত্তরজনের মধ্যে অন্তত পঞ্চাশজন জানতো না, কালো উর্দি পরা এই লোকগুলো আসলে যমদূতের বেশ ধরেই এসেছে ওদের সামনে।ওদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হলো সিভিল লাইনস পুলিশ স্টেশনে। জামাকাপড় খুলে দড়িতে বেঁধে ইচ্ছেমতো পেটানো হলো সবাইকে, যতোক্ষণ না কেউ অজ্ঞান হয়ে ঢলে পড়লো, ততক্ষণ মার চলছিল একটানা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হলো কয়েকজনকে। অজ্ঞাতনামা হিসেবেও কিছু নাম এন্ট্রি করা হলো থানার এফআইআর রেজিস্টারে। টানা কয়েক ঘন্টা চললো অবর্ণনীয় নির্যাতন, এত মার খেয়েও যারা টিকে ছিল, এদের ওপর ক্ষেপে উঠলো প্ল্যাটুন কমান্ডার সুরিন্দর পাল সিং। অধঃস্তন সৈনিকদের সে আদেশ দিল, সবাইকে বেঁধে আবার জিপে তুলতে। সেই মোতাবেক নির্দেশ পালন করা হলো সঙ্গে সঙ্গে। রাতের অন্ধকার চিরে চলতে শুরু করলো জিপ। একটাই অপরাধ ছিল, ওরা মুসলিম!
গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ত্রিশজনকে থানায় নেয়াই হয়নি, হলুদ রঙের সেই ট্রাকে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুরাদনগর নামের একটা জায়গায় এক খালের পাড়ে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময় তখন, মে মাস। বৃষ্টি হচ্ছে হুটহাট, খালে স্রোতও আছে মোটামুটি। হাত পিছমোড়া করে বেঁধে বিশ-পঁচিশজনকে ট্রাক থেকে নামিয়ে দাঁড় করানো হলো খালপাড়ে। হেডলাইট নিভিয়ে দেয়া হলো গাড়ির, তারপর একটানা কয়েক সেকেন্ড শুধু গুলির শব্দই শোনা গেল সেখানে। রাইফেল থেকে ছুটে বেরুলো আগুনের ফুলকি, গোড়াকাটা কলা গাছের মতো পানিতে পড়লো অনেকগুলো দেহ, শরীর থেকে ঝরে পড়লো তাজা রক্ত। থানা থেকে নির্যাতনের পরে যাদের জিপে তোলা হয়েছিল, তাদেরও নিয়ে আসা হয়েছিল সেখানে। কিন্ত রাস্তার পাশে দিয়ে ছুটে যাওয়া গাড়ির হেডলাইটের আলোয় অসুবিধা হচ্ছিল প্রভিশনাল আর্মির কনস্টেবলদের। তাই ঝুঁকি না নিয়ে কয়েকজনকে আবার তোলা হলো ট্রাকে। প্রায় অর্ধেক খতম হয়ে গেছে ততক্ষণে। জীবিতদের নিয়ে আসা হলো হিন্দোল নামের এক নদীর পাড়ে। এখানে এনে দাঁড় করিয়ে তাদের ওপর গুলি চালানো হলো খুব কাছ থেকে, যেন কেউ শখ করে গুলতি দিয়ে আম পাড়ার মিশনে নেমেছে। বুলেটের ধাক্কায় নদীর পানিতে গিয়ে পড়লো দেহগুলো। মরে যাওয়ার আগে তারা জানতেও পারলো না, কি তাদের অপরাধ! সেই কালো রাতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল ৪২ জন, আর এদের সবাই ছিল মুসলমান।
নৃশংস এই ঘটনাটা ঘটেছিল আজ থেকে একত্রিশ বছর আগে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছিল তখন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে, মিরাটের কয়েক জায়গাতেও সহিংসতা হয়েছিল। ১৯৮৭ সালের মে মাসের ১৯ তারিখে দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছিল দশজন, এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সকে মাঠে নামায় উত্তরপ্রদেশের প্রাদেশিক সরকার, কাজে নামে প্রভিশনাল ফোর্সের সদস্যরা। তদন্তে বেরিয়ে আসে সেই দলেরই একটা পুরো কোম্পানীর ইনচার্জ ছিল সুরিন্দর পাল সিং নামের এক ধর্মান্ধ অফিসার। মুসলমান মানেই তার চোখে ছিল দাঙ্গাবাজ, জঙ্গী। তার নীতি ছিল মুসলিম দেখলেই মারো। তিনি অন্যায়কারী মুসলিমদের সাজা না দিতে পারলেও নিরাপরাধদের ঠিকই দিয়েছিলেন কথায় আছে দুর্বলের উপর বাহাদুরি সবাই দেখায় আর তাই জরুরী অবস্থার সুযোগ নিয়ে রাতের আঁধারে মুসলমান পাড়ায় হানা দিয়ে ৪২ জন তরুণকে ধরে কোন তদন্ত, কোন বিচার ছাড়াই নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো তাদের! এদের কেউ আদৌ দাঙ্গার সাথে জড়িত ছিল কিনা, সহিংসতায় কারো ভূমিকা ছিল কিনা, এসবের তোয়াক্কাই করা হয়নি। এই মানুষগুলোর একটা অপরাধ ছিল, ওরা মুসলিম! আর তাই জীবন দিয়ে সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে তাদের! ইতিহাস এই ঘটনাটার নাম দিয়েছে হাশিমপুরা ম্যাসাকার। সেই কালরাতে হানিফসহ আরও চারজন বেঁচে গিয়েছিল গুলির মুখে পড়েও। মামলা করতে পুলিশের কাছে গিয়েছিল তারা, মামলা নেয়া হয়নি। এমনকি ওদের প্রাণের ওপরও হুমকি এসেছিল। ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পরে আদালতের নির্দেশে মিডিয়ার চাপে সরকার বাধ্য হয় সিবিআইকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দিতে। সেই তদন্তেই বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল, জানা যায় এই নিরপরাধ মানুষগুলোকে খুন করা হয়েছিল অযথাই, শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক আক্রোশ থেকে। অভিযোগ দাখিল করা হয় প্রভিশনাল আর্মড কোম্পানীর ইনচার্জ ছিল সুরিন্দর পাল সিং সহ ষোলজনের বিরুদ্ধে।
এই বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধা দেয়ারও কত চেষ্টা করা হয়েছে কতবার! বারবার তারিখ পেছানো হয়েছে, ঘটনায় দায়ী অনেকে তো মরেই গিয়েছেন। সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন, তাদের স্বজনেরাও একে একে পৃথিবী ছেড়েছেন, বিচার আর পাননি। নিম্ন আদালত তো এই বিচারকে প্রহসনই বানিয়ে দিয়েছিল, রায় দিয়েছিল পুলিশের পক্ষে, অভিযুক্ত ষোলজনের সবাইকে খালাস দেয়া হয়েছিল। নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট ৪২ জন পিএসি (প্রভিশনাল আর্মড কনস্টেবুলারি)-র ১৬ জন প্রাক্তন সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল। ১৯৮৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মীরাটের হাশিমপুরা গ্রামে ৪২ জন মুসলিমকে হত্যার দায়ে দোষী হয়েছে এই ১৬ জন। বিচারপতি এস মুরলীধর এবং বিনোদ গোয়েলকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, এ ঘটনায় নিরস্ত্র অসহায় মানুষদের বেছে নিয়ে খুন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের খালাস করে দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের যুক্তি ছিল, অভিযুক্তরা যে পিএসি আধিকারিক, সে কথা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত নয়। অভিযুক্তরা সকলেই এখন অবসরপ্রাপ্ত। এরা সকলেই ভারতীয় দণ্ডবিধির হত্যা, অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের  ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। শুরুতে এ ঘটনায় অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল মোট ১৭ জন। তাদের মধ্যে একজনের বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে।
তবে শেষমেশ, জাস্টিস ডিলেড, জাস্টিস ডান। বিচার হয়েছে, পুনরায় তদন্ত হয় সুপ্রমি আদালত সেই ষোল পুলিশ সদস্যের আমরণ কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন কালকে সেই সাথে ভুক্তভোগী পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারকে। অপেক্ষার অবসান হয়েছে অকালে নিহত হওয়া মানুষগুলোর স্বজনদের। কে জানে, এই রায়ে তাদের আত্মা শান্তি পাবে কিনা!
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, উত্তর প্রদেশ সরকার এবং ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া জুলফিকার নাসির নামে এক ব্যক্তি। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত।

ঘটনার দিন থেকে বুধবারের রায় পর্যন্ত যা যা ঘটেছে, সেগুলি এক নজরে২২ মে ১৯৮৭:  উত্তরপ্রদেশের মীরাটের হাশিমপুরা গ্রাম থেকে ৫০ জন মুসলমানকে তুলে নিয়ে যায় পিএসি-র একটি দল। এরপর তাঁদের গুলি করে খালের দলে ফেলে দেওয়া হয়। ৪২ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৮: উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘটনার সিবি-সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়।
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪: ৬০জন পিএসি আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীকে অভিযুক্ত বলে জানিয়ে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবি-সিআইডি।
২০ মে, ১৯৯৬: উত্তর প্রদেশ পুলিশের সিবি সিআইডি গাজিয়াবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয় ১৬১ জনের নাম।
সেপ্টেম্বর ২০০২: ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও যাঁরা বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁদের তরফ থেকে করা আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা স্থানান্তরিত হয় দিল্লিতে।
জুলাই ২০০৬: ১৭ জনের বিরুদ্ধে দিল্লি আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, প্রমাণ নষ্ট এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জ গঠন করে।
৮ মার্চ, ২০১৩: এ ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পি চিদাম্বরম যুক্ত বলে অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য সুব্রহ্মণিয়ন স্বামীর করা আবেদন খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত।
২২ জানুয়ারি, ২০১৫: নিম্ন আদালত রায়দান স্থগিত রাখে।
২১ মার্চ, ২০১৫: নিম্ন আদালত ১৬ জন অভিযুক্তকেই তাদের পরিচয় সম্পর্কে বেনিফিট অফ ডাউটের ভিত্তিতে খালাস করে দেয়।
১৮ মে, ২০১৫: নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ঘটনায় মৃতদের পরিবার এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।
২৯ মে, ২০১৫: নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের করা আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট ১৭ জন পিএসি কর্মীর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে।
ডিসেম্বর ২০১৫: ঘটনার আরও তদন্ত চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬: দিল্লি হাইকোর্ট সুব্রহ্মণিয়ন স্বামী এবং অন্যান্যদের আবেদনকে মামলার সঙ্গে যুক্ত করে।
৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮: দিল্লি হাইকোর্ট রায়দান মুলতুবি রাখে।
৩১ অক্টোবর, ২০১৮: দিল্লি হাইকোর্ট ৪২ জনকে হত্যার জন্য ১৬ জন প্রাক্তন পিএসি কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করল। 
https://bengali.indianexpress.com/general-news/up-muslim-mass-murder-1987-court-convicted-16-former-pac-personnel-47106/


Comments